নির্বাচনি ব্যয়: কোন আসনে কত খরচ প্রার্থীদের

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন, তবে আড়াই লাখের বেশি হলে জনপ্রতি ১০ টাকা হারে ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে।

এবার আড়াই লাখের নিচে ভোটার রয়েছে তিনটি আসনে; যেগুলোয় ২৫ লাখের বেশি অর্থ খরচ করার সুযোগ নেই।

বাকি ২৯৭ আসনের প্রার্থীরা ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অর্থ খরচের সুযোগ রয়েছে গাজীপুর-২ আসনের প্রার্থীদের। তারা সর্বোচ্চ ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩০ টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

৩০০ সংসদীয় আসনে এবার ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৭৭ লাখের বেশি।

তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ থেকে ভোট পর্যন্ত প্রার্থীদের যাবতীয় ব্যয়ের বিবরণী জমা দিতে হয়। নির্ধারিত ব্যয়সীমার মধ্যে এ খরচ দেখাতে হবে। ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোরও ব্যয়সীমা রয়েছে নির্বাচনি আইনে।

১২ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে; জুলাই জাতীয় সনদের উপরে একই দিন গণভোটও রয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরের দিন প্রতীক বরাদ্দ পাবেন প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে ভোটে থাকা সব প্রার্থীকে নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে সংসদ নির্বাচনে এবার ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ নির্ধারণ করে প্রার্থীর ব্যয়সীমানা বাড়ানো হয়েছে।

৩০০ আসনের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন ভোটার রয়েছে ঝালকাঠি-১ আসনে; ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৩১ জন। আর সর্বোচ্চ ভোটার রয়েছে গাজীপুর-২ আসনে; ৮ লাখ ৪ হাজারের বেশি।

শুক্রবার জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করা যাবে। যে আসনের ভোটার সংখ্যা বেশি, সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ব্যয় করবেন ভোটার প্রতি ১০ টাকা, যেটা বেশি হয়।”

ভোটার প্রতি ১০ টাকার ব্যয়ের বিষয়টির ব্যাখ্যায় সংশ্লিষ্টরা বলেন, কোনো আসনে ভোটার আড়াই লাখের কম থাকলে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। তার বেশি হলে ভোটারপ্রতি খরচ করা যাবে ১০ টাকা হারে।

ভোটার তারতম্য

২ থেকে ৩ লাখ ভোটার রয়েছে, এমন নির্বাচনি এলাকা ২০টি

৩ লাখ থেকে ৪ লাখ ভোটার রয়েছে, এমন নির্বাচনি আসন রয়েছে ১০৩টি

৪ থেকে ৫ লাখ ভোটারের আসন রয়েছে ১১৪টি

৫ লাখ থেকে ৬ লাখ ভোটার রয়েছে ৫২টি আসনে

৬ থেকে ৭ লাখ ভোটারের আসন সংখ্যা ৭টি

৭ থেকে ৮ লাখ ভোটার রয়েছে তিনটি আসনে; ঢাকা-১৯, গাজীপুর-১ ও নোয়াখালী-৪

৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে কেবল গাজীপুর-২ আসনে

ভোটার বেশি যে আসন

১৯৫ গাজীপুর-২ ৮০৪৩৩৩

১৯৪ গাজীপুর-১ ৭২০৯৪০

১৯২ ঢাকা-১৯ ৭৪৭০৭০

২৭১ নোয়াখালী-৪ ৭০০৩৩৯

কম ভোটার

১২৫ ঝালকাঠী-১ ২২৮৪৩১

৯০ যশোর-৬ ২২৯১৬৩

১২৯ পিরোজপুর-৩ ২৪১৩৬১

১০১ খুলনা-৩ ২৫৪৪০৯

ঢাকার বিভিন্ন আসনে ভোটার

১৭৪ ঢাকা-১ ৫৪৫১৪০

১৭৫ ঢাকা-২ ৪১৯২১৫

১৭৬ ঢাকা-৩ ৩৬২১৫৯

১৭৭ ঢাকা-৪ ৩৬২৫০৬

১৭৮ ঢাকা-৫ ৪১৯৯৯৬

১৭৯ ঢাকা-৬ ২৯২২৮৩

১৮০ ঢাকা-৭ ৪৮৭১৬০

১৮১ ঢাকা-৮ ২৭৫৪৬৮

১৮২ ঢাকা-৯ ৪৬৯৩৫৮

১৮৩ ঢাকা-১০ ৩৮৮৬৬১

১৮৪ ঢাকা-১১ ৪৩৯০৭৮

১৮৫ ঢাকা-১২ ৩৩৩৩২০

১৮৬ ঢাকা-১৩ ৪০১০০৭

১৮৭ ঢাকা-১৪ ৪৫৬০৪৪

১৮৮ ঢাকা-১৫ ৩৫১৭১৮

১৮৯ ঢাকা-১৬ ৪০০৪৯৯

১৯০ ঢাকা-১৭ ৩৩৩৭৭৫

১৯১ ঢাকা-১৮ ৬১৩৮৪৪

১৯২ ঢাকা-১৯ ৭৪৭০৭০

১৯৩ ঢাকা-২০ ৩৭৬৬৩৯

এবার ৪৩ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র থাকবে, ভোটকক্ষ থাকবে আড়াই লাখের মতো। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও নির্বাহী হাকিম, বিচারিক হাকিমসহ ভোটের দায়িত্বে থাকবে অনেক লোকবল।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা থাকবে ৯ থেকে ১০ লাখ। ৭ থেকে ৮ লাখ থাকবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*